যশোরে বাপ্পি নামে এক পরিবহন শ্রমিককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার (১৬ নভেম্বর) শহরের মণিহার বাসস্ট্যান্ড এলাকার মনির উদ্দিনের তেল পাম্পের সামনে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তার বাড়ি গোপালগঞ্জের কাশিয়ানির শংকারপাশা গ্রামে। তার বাবার নাম ইদ্রিস সরদার।
তিনি সরদার ট্রাভেলস মায়ের দোয়া পরিবহনের হেলপার ছিলেন। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ পরিবহনের ড্রাইভার নড়াইলের মল্লিকপুরের এনামুল হোসেন ও সুপার ভাইজার যশোরের রুপদিয়ার উজ্জলকে জিজ্ঞাসা করার জন্য পুলিশ হেফাজতে নিয়েছেন। হত্যাকাণ্ডের ঘটনার খবর শুনে ঘটনাস্থলে যশোরের ‘ক’ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান, র্যাব, পিবিআইসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
পরিবহন ম্যানেজার যশোরের বিরামপুরের আমিনুল ইসলাম জানান, গত শুক্রবার ঢাকা থেকে যাত্রী নিয়ে যশোর আসে। শনিবার (১৬ নভেম্বর) সকালে যাত্রী নিয়ে ঢাকায় যাবার কথা ছিল। সকালে ড্রাইভার ও সুপার ভাইজার পরিবহনের কাছে আসেন। এসে দেখেন পরিবহনের দরজা বন্ধ। দরজা নীচ দিয়ে রক্ত বের হতে দেখেন।
পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে পরিবহন থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করেন। তিনি আরও জানান, পুলিশ ড্রাইভার ও সুপারভাইজারকে নিয়ে গেছে। পরিবহনটি জব্দ করেছে।
যশোর কোতয়ালি থানার ওসি (তদন্ত) কাজী বাবুল হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করেছে। তার গলায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ৪/৫টি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে।
ময়না তদন্তের জন্য লাশ যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। কে বা কারা কি কারণে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। সেই সঙ্গে হত্যাকারীদেও চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান শুরু হয়েছে।
টিএইচ